মিরর ডেস্ক : সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর চীনের আচরণকে গণগত্যা হিসেবে ঘোষণা করেছে কানাডার হাউজ অব কমন্স। সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ২৬৬-০ ভোটের বিপুল ব্যবধানে এই ঘোষণা পাস হয়। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা ভোট দানে বিরত থাকলেও ক্ষমতাসীন লিবারাল পার্টির আইনপ্রণেতাদের বড় একটি অংশ এবং সকল বিরোধী দলগুলো এই ঘোষণার পক্ষে ভোট দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চীন সরকারের আচরণকে গণহত্যা আখ্যা দিলো কানাডা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চীনে প্রায় দেড় কোটি উইঘুর মুসলমানের বাস। জিনজিয়াং প্রদেশের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই উইঘুর মুসলিম। এই প্রদেশটি তিব্বতের মতো স্বশাসিত একটি অঞ্চল। বিদেশি মিডিয়ার সেখানে প্রবেশের ব্যাপারে কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সূত্রে খবর আসছে, সেখানে বসবাসরত উইঘুরসহ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে বেইজিং। চীন বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ভোটাভুটির আগে বিরোধী দলীয় নেতা এরিন ও’টুল বলেন,’মানবাধিকার ও মানবাধিকারের মর্যাদার পক্ষে থাকার পরিষ্কার ও দ্ব্যর্থহীন বার্তা দেয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি এমনকি যদি এর কারণে কিছু অর্থনৈতিক সুযোগ হারাই তবুও।’
ভোটাভুটির আগে কানাডায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত কং পেইউ বলেন, কানাডার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ‘চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’।তিনি বলেন, ‘আমরা এত তীব্র বিরোধিতা করছি কারণ এটি সত্য নয়। জিনজিয়াংয়ে গণহত্যা ধরণের কিছুই ঘটছে না।’