
স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১০টি এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় তিনটি স্থানে ১১ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে। এজন্য গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘দিনাজপুর জেলার ঢেপা, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন নদীর তীর সংরক্ষণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে।পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্টরা জানান, দিনাজপুরের বিরল ও বোচাগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ করতে হবে।পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১শ’ ৮০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২১-২২ অর্থবছরে এডিপি’তে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় ১০টি স্থানে ৭ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার এবং বোচাগঞ্জ উপজেলায় ৩টি স্থানে ২ দশমিক ৯৫ কিলোমিটারসহ মোট ১০ দশমিক ৯০ কিলোমিটার স্থায়ী নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় নদী ভাঙন রোধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো, কৃষি-অকৃষি জমি, বনজ বাগান, ফসলাদি, মসজিদ, মন্দির, শ্মশান-ঘাট ইত্যাদি রক্ষা করা হবে। ৭ দশমিক ১০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ৯শ’ হেক্টর ফসলি জমি নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা হবে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় পানি সম্পদ সেক্টরের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে নদীর তীর সংরক্ষণ, নদী/খাল খনন, পুনঃখননের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী ভাঙন রোধ করা। যার ফলে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। প্রকল্পটির সার্বিক দিক বিবেচনায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্পটি সংগতিপূর্ণ।
পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিনাজপুর জেলার বিরল এবং বোচাগঞ্জ উপজেলার মোট ১৩টি স্থানে ঘরবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো, কৃষি/অ-কৃষি জমি, বনজ সম্পদ, ফসলাদি, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদিসহ জানমাল রক্ষা করা সম্ভব হবে। যার ফলে প্রকল্প এলাকার জনগোষ্ঠীদের জীবনমান আরও উন্নয়ন হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।