
মিরর ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনীতি ও সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। দেশটিতে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির হার এখন লাগামছাড়া। এতে নতুন করে মানবিক বিপর্যয়ের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে আছে আফগানিস্তান।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে পারে আফগানিস্তানের অর্থনীতি। এটা লক্ষ লক্ষ আফগানকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধার দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাছাড়া তালেবান সাধারণ ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ জাতিসংঘের হাতে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এসব জানিয়েছে আল জাজিরা ও রয়টার্স। সম্প্রতি ইউএনডিপি এক পৃথক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের জনসংখ্যার প্রায় ৯৭ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যেতে পারে যদি দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান না করা হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, আফগানিস্তানের প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সংকোচনের ফলে দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশটির অর্ধেক মানুষের ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার জন্য একটি সম্মেলনের পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। কিন্তু তালেবান ছাড়া অন্য কোনো দেশ এতে আগ্রহ দেখায়নি। এদিকে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে থাকা দেশটির ১০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ জব্দ করে মার্কিনীরা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) আফগানদের ৪৪০ মিলিয়ন ডলার তালেবানদের হাতে দেয়নি।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ডেবোরা লিয়নস জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে বলেন, ‘আফগানিস্তানে দ্রুত অর্থ প্রবাহিত করার জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এটা করতে হবে অর্থনীতি এবং সামাজিক শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ ভাঙ্গন রোধ করতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অর্থনীতিকে আরও কয়েক মাসের জন্য শ্বাস নেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। তালেবানদের নমনীয়তা প্রদর্শনের সুযোগ দিতে হবে।’
কাউন্সিলে রাশিয়া এবং চীন উভয়েই আফগানিস্তানের স্থগিত সম্পদ মুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছিল। জাতিসংঘে চীনের ডেপুটি দূত গেং শুয়াং বলেন, এই সম্পদগুলোর মালিক আফগানিস্তান এবং এটি আফগানিস্তানের জন্যই ব্যবহার করা উচিত।