
মিরর স্পোর্টস : অচেনা অখ্যাত শেরিফ তিরাসপোলের বিপক্ষে পারলো না ১৩ বারের ইউরোপ সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়েন করিম বেনজেমারা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ ডি’র দ্বিতীয় ম্যাচে শেরিফের কাছে রিয়াল হারে ২-১ গোলে। ১-১ গোলে সমীকরণে থাকা ম্যাচটি যখন ড্রয়ের পথে তখনই চমকে দেন শেরিফের সেবাস্তিয়েন থিল। ৮৯ মিনিটে লস ব্লাংকোসদের হতভম্ব করে বল জালে জড়িয়ে থিল সৃষ্টি করেন ইতিহাস।
বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধেই এগিয়ে গিয়েছিল শেরিফ। ম্যাচের ২৫ মিনিটে জাসুর্বেক ইয়াকশিবোয়েবের গোলে এগিয়ে যায় প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে আসা দলটি। তখনো হয়তো কেউ ভাবেনি হারই লেখা আছে রিয়ালের চিত্রনাট্যে। প্রথমার্ধে শেষে পিছিয়ে থাকা রিয়াল গোলে সমতা আনে দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটের সময়। বেনজেমার পেনাল্টি থেকে স্বাগতিক শিবিরে ফিরে স্বস্তি।
কিন্তু ভাগ্যদেবী যখন মুখ ফিরিয়ে নেয় তখন আর কী ই বা করার থাকে। ম্যাচ যখন শেষের দিকে তখন থিল যেন রিয়ালের যমদূত হয়ে আসেন। চমকে দিয়ে গোল করে রিয়ালকে ডোবান পরাজয়ের লজ্জায়। অথচ এই ম্যাচে আক্রমণের পর আক্রমণ করেছে রিয়াল, বল দখলেও ছিল একচেটিয়া রাজত্ব।
পরিসংখ্যানে চোখ বুলালেই তা স্পষ্ট হবে। ম্যাচে ররিয়াল অন টার্গেট শট নিয়েছে ১১টি, আর অফ টার্গেট ৩১টি। বিপরীতে শেরিফ অন টার্গেট ৩টি ও অফ টার্গেট ৪টি নিয়েছে মাত্র। আর ম্যাচের ৭৬ শতাংশ সময় বল ছিল বেনজেমাদের পায়েই।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে সর্বশেষ ৩২ ম্যাচের মধ্যে ঘরের মাঠে রিয়ালের এটি দ্বিতীয় হার। এর আগে ২০১৮ সালে সর্বশেষ হেরেছিল সিএসকেএ মস্কোর বিপক্ষে ২০১৮ সালে। আর শেরিফ তাদের চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে প্রথম দুটি ম্যাচেই পেয়েছে জয়। ২০১৬-১৭ মৌসুমে লেস্টার সিটির পর এই রেকর্ডে শেরিফ একমাত্র দল।
টানা দুই জয়ে গ্রু ডি থেকে শীর্ষে আছে শেরিফ। মালদোভান এই ক্লাবটির পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে সমান ম্যাচে একটি করে জয় পরাজয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে রিয়াল।
একই গ্রুপ থেকে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিলান ও শাখতার দোনেৎস্ক। ম্যাচটি গোল শূন্য ড্র হয়। এক পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইন্টার ও চতুর্থ স্থানে আছে দোনেৎস্ক।