
মিরর ডেস্ক : পাসপোর্ট প্রদানে ঘুস নেওয়াসহ নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাইদ ও উপপরিচালক রাজ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের জনসংযোগ দফতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্র জানায়, বহির্গমন ও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক আবু সাইদ বর্তমানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস এবং উপপরিচালক রাজ আহমেদ পাসপোর্টের উত্তরা অফিসে ই-পাসপোর্ট এবং স্বয়ংক্রিয় বর্ডার কন্ট্রোল ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করছেন।
পাসপোর্ট প্রদানে ঘুস নেওয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে পাসপোর্ট অফিসের যেসব কর্মকর্তারা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের তালিকা ধরে অনুসন্ধান করছে দুদক। ওই তালিকারই দুই কর্মকর্তা আবু সাঈদ ও রাজ আহমেদ। ঘুসের বিনিময়ে এর আগেও ভারতীয় নাগরিককে পাসপোর্ট প্রদান ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যে একাধিক মামলা করেছে দুদক।
সবশেষ গত ৩০ জুন সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোতালেব হোসেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করে দুদক।