
মিরর ডেস্ক : লন্ডনের একটি পার্কে সম্প্রতি এক স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যার ঘটনায় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাজ্যে। ছয় মাস আগেও সারা এভারার্ড নামে একজন নারী পুলিশের হাতে খুন হয়েছেন। ফলে লন্ডনের রাস্তায় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও গুরুত্ব পাচ্ছে এ বিষয়গুলো।
এক সপ্তাহ আগে সাবিনা নেছা নামের ২৮ বছর বয়সী ওই স্কুলশিক্ষিকা রাতে নিজের বাসা থেকে বের হয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে খুন হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পরের দিন বিকেলে স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারের কাছে ক্যাটার পার্ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ৩৮ বছর বয়সী একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জো গ্যারিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ খুনের ঘটনায় সবাই হতভম্ব। প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে আমার সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।
যুক্তরাজ্যে নারীদের প্রতি যে সহিংসতা মহামারি আকার ধারণ করেছে তা বন্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। জানা গেছে এ বছর যুক্তরাজ্যে কমপক্ষে ১শ’ ৮ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। যার অধিকাংশ ঘটনার সঙ্গেই পুরুষরা জড়িত।
নারীদের নিরাপত্তার জন্য ‘ওয়াক সেইফ’ নামের একটি অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এমা কে বলেছেন, মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে অনেক নারীকে হত্যা করা হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। যুক্তরাজ্যের নারীরা এখন থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের অবশ্য নিরাপদে রাস্তায় চলতে দিতে হবে।