
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের লাশ ৩ দিনেও ফেরত দেয়নি বিএসএফ।মঙ্গলবার বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন লাশের দাবিতে। এ সময় তারা ২ ঘণ্টা বন্দরের আমাদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন।
এর আগে গত রবিবার ভোররাতে ওই উপজেলার বুড়িমারী বান্ধেরমাথা সীমান্তের ৮৪৩ নং মেইন পিলারের নিকট ভারতীয় বিএসএফ’র গুলিতে সাগর ও ইউনুছ নামে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ওই সীমান্ত দিয়ে রবিবার ভোরে ভারতীয় গরু পারাপার করতে যায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহলদল তাদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। বিএসএফ’র গুলিতে সাগর এবং ইউনুস গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বিএসএফ তাদের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
তিনদিন অতিবাহিত হলেও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত লাশ ফেরত দেয়নি ভারতীয় বিএসএফ। ফলে লাশের দাবিতে দুপুরে বুড়িমারী স্থলবন্দর এলাকার নিহত দুই বাংলাদেশি যুবকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেছেন। তারা ওই স্থলবন্দরের আমাদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেন ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। এ সময় ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬১ তিস্তা-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বুড়িমারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।