
হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ ঠিক রাখতে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। একদিনেই বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ বন্দর দিয়ে আট ট্রাকে ৫৯ টন কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশ করেছে। তবে আমদানি অব্যাহত থাকলেও কিছুতেই কমছে না এর দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন বন্দরে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পাইকাররা।ভারতের বাজারে দাম বাড়ায় দেশেও কমছে না বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরে বগুড়া থেকে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা সজিব বলেন, ‘খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বাজারে দেশীয় কাঁচা মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ কিনতে এসেছি। তবে দাম কমছে না। একদিন আগে যে কাঁচা মরিচ ৯৫ টাকায় কিনেছিলাম এখন ১০৮-১১০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে দেশীয় নতুন কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হারুন উর রশীদ ও আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আবারও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেছি। বন্দর দিয়ে নিয়মিত কাঁচা মরিচ আসছে। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চলছে। তবে ভারতের বাজারেই কাঁচা মরিচের দাম বেশি, ফলে দেশের বাজারে সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দামের লাগামটা টেনে ধরা যায়। কয়েকদিন আগে যে কাঁচা মরিচ আমরা ভারতে ৪০ রুপিতে (৪৬ টাকা) কিনেছিলাম, এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ রুপিতে (৬০ টাকা)। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ রয়েছে সাত টাকার মতো। এর ওপর বাংলাদেশে কেজি প্রতিতে শুল্ক রয়েছে ২৬ টাকার মতো। মূলত এ পণ্যের দাম নির্ভর করে কেনার ওপরে। বর্তমানে বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১শ’-১শ’ ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৪ ও ১৬ আগস্ট দুই দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩৬ টন ৭শ’ ৮৬ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। কিন্তু দেশের বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানের কারণে এরপর থেকে এ বন্দর দিয়ে পণ্যটি আমদানি বন্ধ রেখেছিলেন আমদানিকারকরা।